স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপের আগে তামিম ইকবাল নেতৃত্ব ছাড়লেন। তৃতীয় দফায় ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হলো সাকিব আল হাসানকে। তখনই বলা হয়েছিল, এশিয়া কাপ ও ভারত বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আজ সাকিব জানালেন, বিশ্বকাপ শেষেই নেতৃত্ব ছাড়বেন, একদিনও অপেক্ষা করবেন না।
গুঞ্জন আছে, আগেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক থাকা সাকিব ওয়ানডের নেতৃত্ব নেওয়ার সময় নাকি কিছু শর্ত দিয়েছিলেন বিসিবিকে। বিসিবি সেগুলো মেনে নেওয়ার পরই ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হন সাকিব।
তবে সাকিব এমন গুঞ্জন অস্বীকার করলেন বেসরকারি টিভির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো শর্তই দিইনি। যে পরিস্থিতিতে আমি ক্যাপ্টেনসি নিয়েছি, সবচেয়ে বেস্ট ছিল না নেওয়া। আমি প্রথমে এটাই বলেছি যখন পাপন ভাই আমাকে কল করেন। বলেছি, পাপন ভাই এবার করবো না। পরিস্থিতি ঠিক নাই। এই পরিস্থিতিতে আমি নেবো না।’
কেন? সাকিবের জবাব, ‘আমার এই বয়সে এসে এই পরিস্থিতিতে আর দরকার নেই চাপ নেওয়ার। আমি হাসতে চাই, খেলা উপভোগ করতে চাই, পারফর্ম করতে চাই বাংলাদেশের হয়ে। ভালোভাবে শেষ কয়েকদিন শেষ করতে চাই। এটা আমার ইচ্ছা।’
‘কিন্তু পাপন ভাই আমাকে বোঝালেন। কোচ, টিম ম্যানেজম্যান্ট সবার কাছে মনে হলো, আমি ছাড়া এখানে সম্ভব না। আমি বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে।’
‘আসলে ওই রকম সময়ে (এশিয়া কাপের আগে) কেউ ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিতে পারে, এটাও আমার জানা ছিল না। কেউ নিতে পারে, এটাও আমি জানতাম না। হয়তো অন্য কাউকে দিলেও নিতেই হতো। অপশন ছিল না।’
‘আমার কাছে অপশন ছিল না নেওয়ার। একদমই যদি বলতাম, নেবোই না। কিন্তু সবাই বলছে, টিমের জন্য দরকার, তোমার জন্য দরকার না। ঠিক একটা কারণে আমি বলছি ঠিক আছে।
সাকিবের কথা, ‘কেউ যদি বলে আমি একটা শর্ত দিয়েছি যে আমি এটা চাই, এ রকম হলে ভালো হতো, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না। একটা শর্তও না। যখন আমি এগুলো নিউজে দেখেছি, শুধু হেসেছি। এখনকার যে বাস্তব পরিস্থিতি আছে, আমি এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করবো। একদিন পরও না।’
সাকিব যোগ করেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যাপ্টেনসি না করি। দশ ওভার বোলিং, ফিল্ডিং আর ব্যাটিং। কত নির্ভার থাকবো আমি। এই পরিস্থিতিতে আমার কি এটা দরকার আছে? ক্যাপ্টেনসি কি আমার ক্যারিয়ারে কোনো ভেল্যু অ্যাড করছে? এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না।’